স্টাফ রিপোর্ট:
ভালো কাজ উচ্চতর বেতন পাইয়ে দেয়ার অজুহাতে মিথ্যা প্রলোভনে সলমান আইসল্যান্ড পাঠিয়ে সেখানে কাজের পরিবর্তে একটি কক্ষে আটকিয়ে রেখে ১০লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় দালালদের কাজ থেকে টাকা উদ্ধারে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন প্রবাস ফেরত সাহজাদ আলী অপু।
জগন্নাথপুর পৌর শহরের হবিবপুর কিশোরপুর গ্রামের বাসিন্দা মো: আবু বক্কর আলীর ছেলে সাহজাদ আলী অপু বাদি হয়ে জগন্নাথপুর পৌর শহরের হবিবপুর কোনাপাড়া গ্রামের মৃত নঈম উল্ল্যার ছেলে আব্দুল কাইয়ুম, মৃত রুসমত আলীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য ফিরোজ আলী ও সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার জাল্লাবাজ গ্রামের উস্তার আলীর ছেলে মনির হোসেন মঞ্জুকে আসামী করে সুনামগঞ্জের আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জগন্নাথপুর আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরনে সাহজাদ আলী অপু উল্লেখ করেন গত ১৮ এপ্রিল দালালরা সলমান আইসল্যান্ড দেশে তাকে পাঠিয়ে দেয়। এবং তাদের দেয়া ওয়ার্ক পারমিট দ্বারা সংশ্লিষ্ট কোম্পানীতে চাকুরীতে যোগদান করতে গিয়ে দেখা যায় দালালদের দেয়া ওয়ার্ক পারমিটে উল্লেখিত কোন কোম্পানী সলমান আইসল্যান্ডে নেই।
এসময় সলমান আইসল্যান্ড দেশে অবস্থানরত দালাল মনির হোসেন মঞ্জুকে ওয়ার্ক পারমিট ও চাকুরীর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে মনির হোসেন মঞ্জু ক্ষিপ্ত হয়ে সলমান আইসল্যান্ডের নাগরিক ২সন্ত্রাসী দিয়ে একটি কক্ষে সাহজাদ আলী অপুকে আটক করে শারিরিকভাবে নির্যাতন করে।
এসময় সলমান আইসল্যান্ডে অবস্থানরত দালাল মনির হোসেন মঞ্জু আবারো ১০লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। অন্যতায় মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সাহজাদ আলী অপু মামলায় আরো উল্লেখ করেন নির্যাতনের শিকার সাহজাদ আলী অপু কৌশলে আটকে রাখা কক্ষ থেকে বের হয়ে সলমান আইসল্যান্ড দেশের পুলিশের আশ্রয় নেয়। এতে পুলিশ ইমগ্রেশন অফিসের মাধ্যমে সিংঙ্গাপুর পর্যন্ত তাকে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
পরে সাহজাদ আলী অপু মুঠোফোনে তার আত্মীয় লন্ডন প্রবাসী মেহবুব আহমদকে বিষয়টি অবগত করার পর মেহবুব আহমদ অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের টিকেট কেঁেট দেন। এরপর সাহজাদ আলী অপু সিংঙ্গাপুর হতে বাংলাদেশে পৌছে।
সাহজাদ আলী অপু মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন গ্রামের বাড়িতে পৌছে ঘটনার বিষয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে প্রতারনার বিষয়টি অবগত করলে গ্রামের লোকজনদের কাছে সাহজাদ আলী অপুকে বিদেশ পাঠানোর কথা ফিরোজ আলী ও আব্দুল কাইয়ুম স্বীকার করে এবং সাড়ে ৭লাখ টাকা ২সপ্তাহের মধ্যে ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেয়।
পরবর্তীতে সময়মতো প্রতারক চক্র টাকা ফেরত না দেয়ায় পুনরায় ফিরোজ আলী ও আব্দুল কাইয়ুমকে সাড়ে ৭লাখ টাকা ফেরত প্রদানের তাগিদ দিলে উপরোন্ত মারপিঠ ও প্রানে হত্যার হুমকি দেয়। জমি-জমা ও সিএনজি অটোরিক্্রা বিক্রয় করে প্রতারক চক্রকে দেয়া সাড়ে ৭লাখ টাকা খুয়ে সর্বশান্ত সাহজাদ আলী অপুর পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সেই সাথে সলমান আইসল্যান্ডে দালাল মনির হোসেন মঞ্জুর নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে সাহজাদ আলী অপু ঢাকায় উন্নত চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জ.টুডে-১৭ জুলাই ১৮/ বিডিএন