মুহাম্মদ শাহেদ রাহমান ( লন্ডন) যুক্তরাজ্য থেকে :
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিচিত মুখ, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট , নারী জাগরণের অগ্রদূত, সংগঠক রহিমা রহমান।
তিনি গ্রেট ব্রিটেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাংলাদেশি ব্রিটিশ-বাঙালি জনবহুল বারা কাউন্সিল বা নগর কর্তৃপক্ষ নিউহাম কাউন্সিলের চেয়ার অব দ্য কাউন্সিল তথা স্পীকার নির্বাচিত হয়েছেন।
রহিমা রহমানই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি এ বারার স্পীকার নির্বাচিত হলেন।
নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালনকালে তিনি এই নিউহাম কাউন্সিলের ফার্ষ্ট সিটিজেন হিসেবে গণ্য হবেন।
সোমবার (২২ মে ২০২৩ ) লন্ডনের স্থানীয় সময় রাতে নিউহাম কাউন্সিলের বার্ষিক সাধারণ সভায় নির্বাচিত কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে চেয়ার অব দ্য কাউন্সিল বা স্পীকার নির্বাচিত হন রহিমা রহমান।
তিনি নিউহাম কাউন্সিলের চার বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর।
১৯৯৮ সালে রহিমা লেবার পার্টিতে সক্রিয়ভাবে যোগ দেন।
বিলেতের মূল ধারার বিভিন্ন সংবাদপত্র ও মাই লন্ডন ম্যাগাজিনে লন্ডন ও নিউহাম শহরের উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে দেড় দশক আগেই রহিমার বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।
তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে নিউহামেই। লিটল ইলফোর্ড স্কুল ও নিউহাম কলেজে লেখাপড়া করেন।
১৯৯৩ সালে ইউএলএ থেকে বিজনেস অ্যান্ড ফিন্যান্সে ডিগ্রি পাস করেন।
২০০৮ সালে ব্রিকবেক ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইন পলিট্রিক্স সম্পন্ন করেন।
নব্বইয়ের দশক থেকে রহিমা গ্রিন স্ট্রিট নেইবারহুডের জন্য কাজ করছেন।
মা ও শিশুর জীবনমানের উন্নয়ন নিয়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে গত তিন দশক ধরে কাজ করছেন রহিমা রহমান।
তিনি ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো নিউহাম কাউন্সিলের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
রহিমা তার বাবার অনুপ্রেরণায় ছোটবেলা থেকেই কমিউনিটির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
উল্লেখ্য নব নির্বাচিত সিভিক স্পীকার রহিমা রহমানের বাবা মো. আবুল খয়ের হোসেন সিলেট বিভাগের নবীগঞ্জের সন্তান । রহিমারা দুই ভাই ও তিন বোন।
কর্মসূত্রে বাবা বিলেত প্রবাসী থাকায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে রহিমা রহমান ইংল্যান্ডে আসেন ১৯৮৭ সালে।
২০০১ সালে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার সদর উপজেলার উত্তর মোলাইম গ্রামের মুজিবুর রহমান জসিমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
রহিমা রহমানের স্বামী মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান জসীম নিউহাম কাউন্সিলের দুই বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর।