স্টাফ রিপোর্ট ঃ নাম পরিচয় গোপন করে ঘটনার পর থেকেই
একটি ধর্ষণ মামলায় কুড়ি বছর পলাতক থাকার পর যাবতজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী বিশ্বজিৎ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত পয়তাল্লিশ বছর বয়সী বিশ্বজিৎ চৌধুরী জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের হিলালপুর গ্রামের মৃত উপেন্দ্র চৌধুরীর ছেলে।
আজ শুক্রবার দুপুরে তাকে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জগন্নাথপুর থানার চৌকস পুলিশ অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অলক দাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হবিগঞ্জ সদরের কালী বাড়ী রোডের রজনীগন্ধা শেরুয়ানী হাউজে অভিযান চালিয়ে বিশ্বজিৎকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায় , ২০০৩ সালে দলবদ্ধভাবে পালাক্রমে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে সাত জনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা করেন ওই ধর্ষিতা নারী।
এরপর থেকেই মামলার প্রধান আসামি বিশ্বজিৎ চৌধুরী পলাতক ছিলেন।
মামলা দায়েরের চার বছর পর বিশ্বজিৎ -এর অনুপস্থিতিতেই ২০০৭ সালে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল তাকে যাবতজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান,ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর বিশ্বজিৎ প্রথমে ভারতে চলে যায়। কয়েকবছর পর সে দেশে ফিরে হবিগঞ্জে তার নাম পরিচয় গোপন রেখে ছদ্মনাম ব্যবহারে বসবাস শুরু করে। পরে সেখানে বিয়ে করে ভিডিও ক্যামেরাম্যানের কাজ করে আসছিল।
, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিশ্বজিৎকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জটুডে /এহাই ২২ ডিসেম্বর ২০২৩