মো: আব্দুল হাইঃ পরকীয়া সর্ম্পকের বলি ১১বছরের শিশু সোইয়াবুর রহমান কে হত্যার দায়ে প্রেমিক যুগলকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষনা দিয়েছেন । মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলেন জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের চিতুলিয়া গ্রামের আলকাছ আলীর ছেলে পরকীয়া প্রেমিক বারিক মিয়া (৩৭) পরকীয়া প্রেমিকা নিহত শিশু সোইয়াবুর রহমানের মা সিতারা বেগম (৩৯) । মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী বারিক মিয়া সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে দন্ড ভোগ করছেন।অপর মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী নিহত শিশু সোইয়াবুর রহমানের মা সিতারা বেগম হত্যাকান্ডের পর থেকে পলাতক রয়েছেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায় ‘নিহত শিশু সোয়াইবুর রহমানের পিতা মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রবাসে থাকার সুবাদে তার মা সিতারা বেগম তাদের বাড়ির কেয়ারটেকার একই এলাকার বাসিন্দা বারিক মিয়ার সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। সিতারা বেগমের স্বামী সৌদিআরব প্রবাসী মোঃ রফিক মিয়া প্রবাসে যাওয়ার আগে বারিক মিয়াকে তার পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে যান।রফিক মিয়া বিদেশে চলে যাওয়ার পর থেকে কেয়ারটেকার বারিক মিয়ার সাথে সিতারা বেগমের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় সময় বারিক মিয়া সিতারা বেগমের ঘরে রাত্রিযাপন করতেন। এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।বারিক মিয়া ও সিতারা বেগমের অনৈতিক কর্মকান্ড নিহত শিশু সোয়াইবুর রহমান নিজ চোখে দেখে ফেলে।শিশু সোয়াইবুর রহমান ঘটনাটি তার প্রবাসী পিতা রফিকুল ইসলামকে জানানোর চেষ্টা করছিল। এতে বারিক ও সিতারার পরকীয়া অন্ধ প্রেমের বাধা হয়ে দাঁড়ায় শিশু সোয়াইবুর। সিতারা বেগম ছেলের এমন আচরনে ক্ষুব্দ হয়ে উঠেন।এবং সিতারা বেগম তার প্রেমিক বারিক মিয়াকে বিষয়টি অবহিত করলে তারা দুজন সোয়াইবুরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০১২ সালের ১৪ অক্টোবর বিকেলে চিতুলিয়া গ্রামের শিশু সাবুল মিয়ার মাধ্যমে সোয়াইবুরকে ফুসলিয়ে স্থানীয় চিতুলিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর প্রেমিক যুগল বারিক মিয়া ও সিতারা বেগম মাদরাসায় যায় এবং শিশু সোয়াইবুরকে মাদরাসার টয়লেটের কাছে নিয়ে যায় এবং তার মুখ ও গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে তার লাশ গুম করতে টয়লেটের ট্যাংকিতে ফেলে রেখে যায় ।এ ঘটনায় নিহত সোইয়াবুর রহমানের চাচাতো ভাই মোঃ হান্নান মিয়া বাদি হয়ে ২০১২ সালের ১৫ অক্টোবর পরকীয়া প্রেমিক যুগল বারিক মিয়া ও সিতারা বেগম সহ শিশু সেবুল মিয়াকে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ বারিক মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও সিতারা বেগম ও শিশু সেবুল মিয়া এখনো পলাতক রয়েছেন।দীর্ঘদিন আদালতে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটির বিচার কার্য পর্যালোচনা ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে শিশু সোয়াইবুর রহমান হত্যাকান্ডের ঘটনাটি প্রমাণিত হওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন এই আলোচিত হত্যাকান্ডে রায় প্রদান করেছেন । বাদি পক্ষে অ্যাডভোকেট জিয়াউল ইসলাম ও আসামী পক্ষে অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দিন ও অ্যাডভোকেট আব্দুল ওদুদ মামলাটি পরিচালনা করেন।
পরকীয়া সর্ম্পকের বলি ১১বছরের শিশু সোইয়াবুর রহমান কে হত্যার দায়ে প্রেমিক যুগলকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষনা দিয়েছেন । মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলেন জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের চিতুলিয়া গ্রামের আলকাছ আলীর ছেলে পরকীয়া প্রেমিক বারিক মিয়া (৩৭) পরকীয়া প্রেমিকা নিহত শিশু সোইয়াবুর রহমানের মা সিতারা বেগম (৩৯) । মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী বারিক মিয়া সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে দন্ড ভোগ করছেন।অপর মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী নিহত শিশু সোইয়াবুর রহমানের মা সিতারা বেগম হত্যাকান্ডের পর থেকে পলাতক রয়েছেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায় ‘নিহত শিশু সোয়াইবুর রহমানের পিতা মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রবাসে থাকার সুবাদে তার মা সিতারা বেগম তাদের বাড়ির কেয়ারটেকার একই এলাকার বাসিন্দা বারিক মিয়ার সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। সিতারা বেগমের স্বামী সৌদিআরব প্রবাসী মোঃ রফিক মিয়া প্রবাসে যাওয়ার আগে বারিক মিয়াকে তার পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে যান।রফিক মিয়া বিদেশে চলে যাওয়ার পর থেকে কেয়ারটেকার বারিক মিয়ার সাথে সিতারা বেগমের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় সময় বারিক মিয়া সিতারা বেগমের ঘরে রাত্রিযাপন করতেন। এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।বারিক মিয়া ও সিতারা বেগমের অনৈতিক কর্মকান্ড নিহত শিশু সোয়াইবুর রহমান নিজ চোখে দেখে ফেলে।শিশু সোয়াইবুর রহমান ঘটনাটি তার প্রবাসী পিতা রফিকুল ইসলামকে জানানোর চেষ্টা করছিল। এতে বারিক ও সিতারার পরকীয়া অন্ধ প্রেমের বাধা হয়ে দাঁড়ায় শিশু সোয়াইবুর। সিতারা বেগম ছেলের এমন আচরনে ক্ষুব্দ হয়ে উঠেন।এবং সিতারা বেগম তার প্রেমিক বারিক মিয়াকে বিষয়টি অবহিত করলে তারা দুজন সোয়াইবুরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০১২ সালের ১৪ অক্টোবর বিকেলে চিতুলিয়া গ্রামের শিশু সাবুল মিয়ার মাধ্যমে সোয়াইবুরকে ফুসলিয়ে স্থানীয় চিতুলিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর প্রেমিক যুগল বারিক মিয়া ও সিতারা বেগম মাদরাসায় যায় এবং শিশু সোয়াইবুরকে মাদরাসার টয়লেটের কাছে নিয়ে যায় এবং তার মুখ ও গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে তার লাশ গুম করতে টয়লেটের ট্যাংকিতে ফেলে রেখে যায় ।এ ঘটনায় নিহত সোইয়াবুর রহমানের চাচাতো ভাই মোঃ হান্নান মিয়া বাদি হয়ে ২০১২ সালের ১৫ অক্টোবর পরকীয়া প্রেমিক যুগল বারিক মিয়া ও সিতারা বেগম সহ শিশু সেবুল মিয়াকে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ বারিক মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও সিতারা বেগম ও শিশু সেবুল মিয়া এখনো পলাতক রয়েছেন।দীর্ঘদিন আদালতে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটির বিচার কার্য পর্যালোচনা ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে শিশু সোয়াইবুর রহমান হত্যাকান্ডের ঘটনাটি প্রমাণিত হওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন এই আলোচিত হত্যাকান্ডে রায় প্রদান করেছেন । বাদি পক্ষে অ্যাডভোকেট জিয়াউল ইসলাম ও আসামী পক্ষে অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দিন ও অ্যাডভোকেট আব্দুল ওদুদ মামলাটি পরিচালনা করেন।