মো. আব্দুল হাই::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পৌর শহরের কামাল কমিউনিটি সেন্টারের মার্কেটে তালাবদ্ধ স্টুডিও দোকানের ভেতরে নিখোঁজের ৪ দিন পর স্টুডিও মালিক ফটোগ্রাফার আনন্দ সরকারের(২৩) মৃত দেহ ঘীরে রেখেছে পুলিশ । আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টা থেকে তালাবদ্ধ স্টুডিও এর বাহিরে শতশত উৎসুখ জনতার ভীড় রয়েছে। জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় ইত্তেফাককে জানান, নিখোঁজ আনন্দ সরকার খুন হতে পারেন এমন ধারনা করা হচ্ছে। দোকান ঘরটি তালাবদ্ধ থাকার কারণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জেলা থেকে সিআইডি‘র বিশেষজ্ঞ দল আসার পর দোকানের তালা খোলা হবে। নিহত ফটোগ্রাফার আনন্দ সরকার(২৩) নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলা বাইনারী ইউনিয়নের বটতলী গ্রামের সুণীল চন্দ সকারের ছেলে। সে দীর্ঘ ৫বছর ধরে প্রথমে একটি স্টুডিওতে চাকুরি নেয় পরে বছরখানেক ধরে নিজ নামে আনন্দ স্টুডিও দোকান খুলে ব্যবসা করছিলেন। নিহত আনন্দ সরকারের মা জ্যোছনা রাণী সরকার জানান, সোমবার(২ডিসেম্বর) রাত ৮টায় আমার ছেলের সাথে মুঠোফোনে শেষবারের মত কথা হয়। এরপর থেকে তার সাথে আর কথা হয়নি। পরদিন সকালে আমার ছেলে আনন্দকে ফোন করলে সেটা বন্ধ পাই। এভাবে ৩দিন মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় আজ সোমবার সকালে জগন্নাথপুর এসে আমার ছেলের দোকান বন্ধ পেয়ে প্রথমে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে এবং পরে থানায় জানাই। পরে জানতে পারি তালা বদ্ধ দোকানের ভেতরে আমার ছেলের মৃত দেহ রয়েছে। এদিকে পুলিশ ও স্থানীয়রা ধারনা করছেন এটি একটি নৃশংস হত্যাকা-। সিআইডির বিশেষজ্ঞ দল মৃত দেহ উদ্ধারের পর বিস্তারিত জানা যাবে।