ডেস্ক রিপোর্ট:
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের অগ্রগতির ধারা ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র চলছে। তাই সবার সতর্ক থাকতে হবে। কোনো বিশ্বাসঘাতকদের দলে ঠাঁই হবে না।
১৪ নভেম্বর বুধবার সকালে গণভবনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকা পেতে আগ্রহী ৪ হাজার ২৩ জনের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে শেখ হাসিনা আরো বলেন, কেউ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী হলে তাকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে। দলীয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘরের শত্রু বিবিশন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দল করতে হলে দলের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। যাকে নৌকা প্রতীক দেয়া হবে, সব নেতাকর্মীকে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন জরিপ রিপোর্ট আমার কাছে। জরিপের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেওয়া হবে।
গত টানা ১০ বছরে কোন মন্ত্রী-এমপি বা সম্ভাব্য প্রার্থী নিজ এলাকায় কী করেছেন, জনপ্রিয়তা বেড়েছে নাকি কমেছে, অনিয়ম-দুর্নীতি কিংবা দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে কিনা, এ সকল আমলনামা রয়েছে দলীয় প্রধানের হাতে। তাই সংসদীয় বোর্ডের ধারাবাহিক বৈঠক থেকে সর্বশেষ জরিপসহ সবকিছু বিবেচনা করেই এবার আওয়ামী লীগ একক প্রার্থিতা ঘোষণা করা হবে।
মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগ জানিয়েছিল, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষাত্কার শুরু করতে বুধবার দলের ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে হিসেবে সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছিল। দলের সভানেত্রীর আগমন উপলক্ষে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সকাল থেকেই অপেক্ষা করছিলেন নেতাকর্মীরা। তবে সাড়ে ১২টার দিকে জানা যায় বুধবার নয় বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির কার্যালয়ে যেতে পারেন শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
সূত্র-ইত্তেফাক