মাদরাসা শিক্ষক সমিতি, জগন্নাথপুর উপজেলা সভাপতি হলিয়ারপাড়া জামেয়া কাদেরিয়া সুন্নীয়া ফাজিল মাদরাসার স্বনামধন্য অধ্যক্ষ ডক্টর মাওলানা মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম পারভেজকে
মাদরাসা এলাকার দুটি পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিনের বিরোধ সমঝোতা না হওয়ায় উক্ত বিষয়কে অধ্যক্ষের ওপর চাপিয়ে দিয়ে মামলা দায়ের করার ফলে তিনি আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মন্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
একটি কাল্পনিক ষড়যন্ত্রমূলক মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন জগন্নাথপুর উপজেলা মাদরাসা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। মামলার সুষ্টু তদন্ত এবং কারাগার থেকে জামিন প্রার্থনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ৭ সেপ্টেম্বর) মাদরাসা শিক্ষক সমিতি জগন্নাথপুর উপজেলার জরুরি সভায় সমিতির সভাপতি ডক্টর মঈনুল ইসলাম পারভেজের উপর ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে তাঁকে কারাবাসী করায় সমিতির নেতৃবৃন্দ দুঃখ, ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
নেতৃবৃন্দরা বলেন, মামলা দায়ের হওয়ার পর সমিতির এক সভায় নেতৃবৃন্দরা তিনির বিরুদ্ধে মামলা এবং মামলায় বর্ণিত প্রবাসীদের ফান্ড সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে ডক্টর পারভেজ বলেন বিষয়টি সত্য নয় কারণ উক্ত ফান্ড প্রবাসীদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
মাদরাসায় বছরে একবার চেকের মাধ্যমে অনুদান প্রদান করা হলে মাদরাসা তা ব্যায় করেন।
উক্ত ফান্ড আমি বা মাদরাসা কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়না।
এ কথা বলে তিনি উক্ত ফান্ডের মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকার রশিদ বহি, ব্যাংক স্টেটম্যান্ট কপি ও মাদরাসার নামের একাউন্টে জমাকৃত টাকার স্লিপ ও মাদরাসার নামে সঞ্চয়ী হিসাবের ব্যাংক স্টেইটমেন্ট এবং মাদরাসার নামের এফ.ডি.আর দেখালে তা সমিতির নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে কয়েকজন পর্যবেক্ষণ করেন।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ বিগত ২০০০ সাল থেকে মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সাথে জড়িত এবং একজন দায়িত্বশীল হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বর্তমানে তিনি শিক্ষক সমিতির সভাপতি। অর্থ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে সব সময় তিনি সতর্ক থাকেন।
তাছাড়া তিনি দীর্ঘ ২৩বছর থেকে সমিতিসহ বিভিন্ন সংস্থার সাথে জড়িত রয়েছেন।
কিন্তু অর্থ সংক্রান্ত কোন ত্রুটি তার বিরুদ্ধে আমরা কোনদিন শুনিনি।
তিনি একজন স্বচ্ছ দায়িত্বশীল। তাই আমরা নির্ধিদায় বলতে পারি, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হলে বাস্তব সত্য মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
এদিকে সমিতির কয়েকজন নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার ( ৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় হলিয়ারপাড়া ফাজিল মাদরাসার গভর্ণিং বডির সম্মানিত সদস্য ও শিক্ষক স্টাপের সাথে ভিন্ন ভিন্ন বৈঠক করে মামলায় বর্ণিত প্রবাসী কল্যাণ ফান্ড এবং অধ্যক্ষ সম্পর্কে বাস্তব অবস্থা জানতে চান।
এসময় গভর্ণিং বডির সভাপতি মোঃ ফয়যুর রহমান বলেন; আমরা আজ ব্যথিত ও মর্মাহত।
ডক্টর মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ মূলত এলাকার দুটি পক্ষের দন্ধের স্বীকার হয়ে তিনি আজ কারাগারে়।
আমি প্রায় ২ বছর থেকে মাদরাসার গভর্ণিং বডির সভাপতির দায়িত্বে আছি, মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা পারভেজ অর্থ তসররুফ সংক্রান্ত কোন ধরণের ত্রুটি আমার কাছে পরিলক্ষিত হয়নি।
তিনি বলেন, অধ্যক্ষ মাওলানা পারভেজ একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি।
পুলিশ কর্মকর্তা এবং অনেক সাংবাদিক আমার কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ মুলক ত্রুটি আছে কি না জানতে চেয়েছেন, আমি স্পষ্ট বলে দিয়েছি এমন কোন কিছুর বাস্তবতা নেই।
মূলত দু -পক্ষের লড়াইয়ের স্বীকার হয়েছেন মাদরাসার অধ্যক্ষ ।
মাদরাসার শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ঠিক এমনিভাবে স্পষ্ট বক্তব্য এসেছে।
তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়,অধ্যক্ষ মঈনুল ইসলাম পারভেজ এলাকার একটি পক্ষের সাথে থাকার কারণে আজ তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে।
শিক্ষকদের প্রশ্ন! আজ তাঁদের ভূমিকা কোথায়? কয়েকজন শিক্ষক কেঁদে কেঁদে বলেন; আমাদের প্রিন্সিপালের সুনাম ও খ্যাতি জগন্নাথপুর তথা সুনামগঞ্জে নয় বরং তিনি গোটা বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান ও সুপরিচিত ব্যক্তি।
এলাকার দুটি পক্ষের দন্ধের বলি হয়ে আজ তিনি কারাগারে যেতে হলো।
সমিতির সকল সিদ্ধান্তে আমরা একমত পোষণ করছি এবং যে কোন কর্মসূচীতে আমরা এগিয়ে আসবো, ইনশাল্লাহ।
তারা আরও বলেন, আমাদের খুবই কষ্ট লাগে যখন দেখা যায়,কতিপয় সংবাদকর্মী বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে একজন সম্মানিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানিকর কথা বলে। আমরা আল্লাহর কাছে এর বিচার চাই।
বিবৃতি দাতা হলেন- জগন্নাথপুর উপজেলা মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি মাওলানা মখছুছুল করীম চৌধুরী, সহ-সভাপতি, মাওলানা তাজুল ইসলাম আলফাজ, সহ-সভাপতি মাওলানা জমির আহমদ, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাকিম
রসুলগন্জ মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ইউসুফ মানিক সাধারণ সম্পাদক ডক্টর সৈয়দ রেজওয়ান আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা সাইফুল ইসলাম,
সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সালেহ আহমদ, অর্থ সম্পাদক মাওলানা আমির আলী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ওলিউর রহমান, সাহিত্য সম্পাদক মাওলানা নিজাম আহমদ,
পীরের গাঁও মাদরাসার সুপার মাওলানা নিজাম উদ্দিন,রসুল পুর মাদরাসার সুপার মাওলানা তাজুল ইসলাম, শাহজালাল জামেয়ার সুপার মাওলানা লুৎফুর রহমান,হলিয়ার পাড়া মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা নূরুল হক,জয়দার সহ সুপার মাওলানা মাহমুদুল হাসান,
হযরত আবু বকর মাদরাসার সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন চৌধুরী, এডিএম ফখর উদ্দিন (সৈয়দপুর), রফিকুল ইসলাম মল্লিক (হলিয়ারপাড়া),
মাওলানা মোঃ রুহুল আমীন (সুপার, বাউধরন), মাওলানা মোঃ তাজুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত,পাঠকুড়া দাখিল মাদরাসা), মাওলানা ফয়েজ উদ্দিন (শিক্ষক, হবিবপুর কেশবপুর মাদরাসা),
মাওলানা সানাওর আলী (শিক্ষক, হবিবপুর কেশবপুর মাদরাসা), মাওলানা আম্বর আলী (শিক্ষক, চিলাউড়া মাদরাসা), মোঃ ইলিয়াস মিয়া (শিক্ষক, রসুলগঞ্জ মাদরাসা) মাওলানা কাওসার আহমদ (শিক্ষক, রসুলপুর বনগাও মাদরাসা),
মাওলানা আব্দুল মান্নান (শিক্ষক, চরা মাদরাসা), মোঃ রফিকুল ইসলাম (শিক্ষক, পীরেরগাও মাদরাসা), মোঃ শফিউল ইসলাম (শিক্ষক, পূর্ববুধরাইল মাদরাসা),
মোঃ আনোয়ারুল হক (শিক্ষক, বালিকান্দি মাদরাসা), মাওলানা আব্দুল মান্নান (শিক্ষক, রসুলপুর চিলাউড়া মাদরাসা), মোঃ রফিকুল ইসলাম (শিক্ষক, শাহজালাল জামেয়া দ্বীনিয়া), মোঃ শহীদুল ইসলাম (শিক্ষক, বাউধরন মাদরাসা)
মাওলানা মোঃ আফজল হোসেন (সুপার, উত্তর কালনীরচর মাদরাসা), মাওলানা মোঃ রুহুল আমীন (সুপার, বাউধরন মাদরাসা), মোঃ শহীদুল ইসলাম (শিক্ষক, বাউধরন),
মাওলানা মোঃ তাজুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত,পাঠকুড়া), মাওলানা মোঃ আবু তাহের (সুপার, শ্রীরামসী, ইবি মাদরাসা), মাওলানা মোঃ আশরাফ আলী (সুপার, আল ইহসান, ইবি মাদরাসা),
মাওলানা মোঃ ইকবাল হোসাইন, (সুপার, লতিফ নগর, ইবি মাদরাসা), মাওলানা মোঃ শাহ আলম (সুপার, হযরত বিলাল রা. ইবি মাদরাসা) সহ আরো অনেকে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: