জগন্নাথপুর টুডে নিউজ:
জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব কাতিয়া গ্রামে রবিবার (২৭ মে) সন্ধ্যা ৬টায় চাচা-ভাতিজার সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে শালিষি ব্যক্তি ফয়েজ মিয়া আহত হওয়ার জের ধরে হরুপ খানের লোকজনদের সাথে সংঘর্ষে নারী সহ ১৫জন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে ৬ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ৪জনকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন পূর্ব কাতিয়া গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে কামাল হোসেন মহসিন (৪২), ইকবাল হোসেন (২১), মোহাম্মদ হোসাইন (৩৬), ইমাম হোসেন (৪০), আব্দুল করিমের ছেলে সিরাজ উদ্দিন (৬৫), সিরাজ উদ্দিনের ছেলে খুর্শেদ আলম (২২), আমির উদ্দিন (৩৫), জহুরুল ইসলামের ছেলে আবিদুল ইসলাম (১৭), রেজাউল কবির (২৬), মৃত জাকারিয়ার স্ত্রী ছাবিয়া বেগম (৫০), মৃত জাকারিয়ার ছেলে ফয়েজ মিয়া (৩০), কয়েছ মিয়া (২৮)।
আহতদের মধ্যে ছাবিয়া বেগম, সিরাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ হোসাইন, ইমাম হোসেন, রেজাউল কবির ও কয়েছ মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং কামাল হোসেন মহসিন, খুর্শেদ আলম, আবিদুল ইসলাম ও ইকবাল হোসেনকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত ইকবাল হোসেন মহসিন জানান, রবিবার ইফতার পূর্ব সন্ধ্যা ৬টায় পূর্ব কাতিয়া গ্রামের মসলিম খানের ছেলে হরুপ খান তার চাচা ফিরোজ খানের সাথে পারিবারিক বিরোধ নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় একই পাড়ার মৃত জাকারিয়ার ছেলে ফয়েজ মিয়া উভয় পক্ষকে নিভৃত করার চেষ্টা করলে হরুপ খান উত্তেজিত হয়ে ফয়েজ মিয়াকে মারধর শুরু করেন।
হরুপ মিয়া ও ফয়েজ মিয়ার পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে বৃষ্টির মত ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে নারী সহ ১৫জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় লোকজনদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
খবর পেয়ে গতকাল সোমবার জগন্নাথপুর থানার এস আই কবির উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে এস আই কবির উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে হাসপাতালে আহতদের খোজ খবর নেয়া হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।
জ.টুডে-২৮ মে ২০১৮/বিডিএন