বিপ্লব দেব নাথ ॥
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি কর্তৃক জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ সড়কের কেউন বাড়ি বাজার পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কের পুন:সংস্কার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বছর যেতে না যেতেই সড়কটি পুনরায় বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।
গত মাসের শুরু থেকে জগন্নাথপুর উপজেলা সদর থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত সড়কটির জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের কাছে, বটেরতল ও হামজা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে বিশাল ৪টি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তগুলোতে মালবাহি ট্রাক, যাত্রীবাহি বাস সহ সকল প্রকার যানবাহন আটকে গিয়ে বিকল হয়ে পড়ছে। এছাড়াও সিএনজি অটোরিক্্রা, টমটম, রিক্্রা, মোটর সাইকেল সহ ছোট বড় সকল প্রকার যানবাহন এসব গর্তে পড়ে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
সড়কের ঐ স্থানে বিশাল ৪টি গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারনে যাতায়াতকৃত অধিকাংশ যানবাহনগুলো অসাবধান বশত: গর্তে পড়ে গিয়ে যানবাহনের ক্ষতির পাশাপাশি যাত্রীদেরও জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। জগন্নাথপুরের এলজিইডি কর্তৃপক্ষ সড়কটির ঐ স্থানে ৪টি গর্তের সংবাদ পেলেও দীর্ঘ এক মাসেও সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
জরুরী ভিত্তিতে সড়কের গর্তগুলো সংস্কার করা না হলে শীঘ্রই জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের সাথে সরাসরি যাত্রীবাহি বাস ও মালবাহি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন ভুক্তভোগী জনসাধারন। শুক্রবার ১ জুন সকালে সড়কের হামজা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সড়কটির বিশাল গর্তে সিমেন্ট কোম্পানীর মাল বোঝাই ট্রাক গর্তে আটকা পড়ে যায়। সড়কটির মাঝামাঝি স্থানে মাল বোঝাই ট্রাকটি আটকা পড়ায় ঐ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সড়কের ঐ স্থানে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
রাত ৮টায় গর্তে আটকে পড়া ট্রাকটি উদ্ধারের পর মালবাহি যানবাহন চলাচল শুরু হয়। জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-সিলেট সড়কের জগন্নাথপুর পৌর শহরের উপজেলা সদর থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত সড়কটিতে বিশাল ৪টি গর্ত ও অন্যান্য স্থানে খানা খন্দক সৃষ্টি হওয়ার বিষয়ে এলজিইডির জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার জানান,
জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ সিলেট সড়কের কেউন বাড়ি বাজার পর্যন্ত পুন:সংস্কার কাজের ঠিকাদারকে গর্তগুলো সংস্কারের জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে। সড়কে গর্ত হওয়া অংশে শীঘ্রই সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হবে।
জ.টুডে-৩ জুন ২০১৮/বিডিএন