মো. আব্দুল হাই:-
জগন্নাথপুর উপজেলার জ্ঞানী ও গুনীজনদের জন্মভূমি হিসেবে খ্যাত ভাটিরজনপদ বৃহৎ নলুয়া ও মইয়ার বেষ্ঠিত চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের সমৃদ্ধ জনবহুল গ্রাম চিলাউড়ায় উচ্চ শিক্ষার ধার উন্মোচনে কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি চিলাউড়া গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্যে বসবাসরত শিক্ষানুরাগী সমাজসেবক দানশীল ব্যক্তিত্ব যুক্তরাজ্য কমিউনিটির পরিচিত মূখ হুমায়ুন রশীদ মামুন উৎসাহে ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত চিলাউড়া গ্রামের শিক্ষানুরাগী সমাজসেবক দানশীল ব্যক্তিদের পাশাপাশি তরুণ প্রজন্ম কলেজ প্রতিষ্ঠায় সাড়া দিয়েছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের গ্রামগুলোর সাথে এক কালে বর্ষায় নৌকা আর হেমন্তে পাঁয়ে হেঁটে লোকজন তাদের গন্তব্যে পৌছাতেন। কালের পরিবর্তে বিচ্ছিন্ন জনপদের চিত্র অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। এখন পুরো মৌসুমেই দুই/একটি গ্রাম ছাড়া ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের সাথে সড়ক যোগাযোগ সৃষ্টি হওয়ায় জনসাধারন র্নিবিঘেœ তাদের গন্তব্য স্থানে যানবাহন দিয়ে পৌছাতে পারছেন। বিশেষ করে ইউনিয়নের বৃহৎ গ্রাম চিলাউড়ার সাথে উপজেলা সদরের পুরো মৌসুমেই যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই উন্নত হয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে শতভাগ বিদ্যুৎ সঞ্চালন চালু হওয়ায় প্রতিটি গ্রামের জনসাধারন নাগরিক সুবিদার সুফল ভোগ করছেন।
ইউনিয়নের দুটি গ্রামে স্থাপিত হস্তশিল্পের পন্য দেশের পাশাপাশি প্রবাসেও সমাধৃত হওয়ায় অনেক লোক এই পেশায় জীবিকা নির্বাহ করছেন। নৈপ্যুণভাবে প্রস্তুতকৃত হস্তশিল্পের দ্রব্যগুলো সুনাম ছড়িয়েছে। আর্ন্তজাতিক কুটনৈতিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাটি বাংলার সিংহ পুরুষ হিসেবে খ্যাত প্রয়াত আলহাজ আব্দুস সামাদ আজাদ এর জন্মমাটি চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নটি শিক্ষাক্ষেত্রেও রয়েছে সুনাম।
ইউনিয়নটিতে রয়েছে ২টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১০টি আলিম, দাখিল, ইবতেদায়ী ও কওমী মাদ্রাসা রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। প্রতি বছর এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী মাধ্যমিক ও দাখিল পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে ফলাফল অর্জন করে থাকে। এদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহনে উপজেলা সদর ছাড়াও পাশর্^বর্তী উপজেলা এবং দেশের বিভিন্ন শহরের কলেজ গুলোতে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া করে যাচ্ছেন। অনেকেই আর্থিক সংকট ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার কারনে দূরবর্তী স্থানে গিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনে আগ্রহী হচ্ছেন না।
এতে ঝরে পড়ার হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা রয়েছে। গ্রামীণ জনপদ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে অপরূপ চিলাউড়ায় উচ্চ শিক্ষার ধার উন্মোচনে কলেজ প্রতিষ্ঠা হলে ইউনিয়নের উচ্চ শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়া রোধ সহ ইউনিয়নটির প্রতিটির এলাকার শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহনে আগ্রহ সৃষ্টি হবে বলে সচেতন মহল অভিমত প্রকাশ করেছেন। কলেজ প্রতিষ্ঠায় সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী শিক্ষানুরাগী হুমায়ূন রশীদ মামুন। চিলাউড়ায় কলেজ প্রতিষ্ঠা নিয়ে হুমাযূন রশীদ মামুন তিনি তার ফেইসবুক আইডিতে স্ট্যাটাসে কলেজ প্রতিষ্ঠা নিয়ে লিখেছেন যা হুবহু তুলে ধরা হলো—
সম্মানীত চিলাউড়াবাসী আমাদের চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের মধ্য কলেজ নেই । কিন্তু আশেপাশে আমাদের জগন্নাথপুর উপজেলার সকল ইউনিয়নেই কলেজ হয়ে গিয়েছে । তাই আমি মনে করি জনসংখ্যা ও আয়তন বিবেচনা করে চিলাউড়াই এক মাত্র উপযুক্ত স্থান । তাই দলমত নির্বিশেষে সকলের সহযোগীতা দরকার ।
আমাদের গ্রামের সকল সম্মানীত মুরুববীয়ান ও তরুন সমাজের সচেতন সবাইকে অনুরোধ করছি এগিয়ে আসেন কলেজ স্থান করার জন্য । বাজারের হাইসকুলের আশেপাশে স্থান নির্ধারণ করেন এবং স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং প্রবাসী সকলের সহযোগীতা নেন ইনশাআল্লাহ সাকসেসফুল হওয়ার সম্ভাব্যনা আছে । আমরা ৩০ বছর পূর্বে হাইস্কুলে যেতাম ৩ মাইল হেটে জগন্নাথপুরে সেই সমান পথ কলেজে যেত হয় গাড়ীতে । আমরা যদি গ্রামে কলেজ করতে পারি শিক্ষিতের সংখ্যা আর বৃদ্ধি করতে পারব ।
আপনারা যারা কলেজ করার জন্য আগ্রহী বা চিন্তা ভাবনা করিতেছেন অনুগ্রহ করে মতামত জানাবেন, শেয়ার করে কমেন্ট করে । অসংখ্য ধন্যবাদ সম্মানীত গ্রামের সকল সচেতন নাগরিক বৃন্দকে আমার লেখার দিকে একটু দৃষ্টি দিবেন দয়া করে । সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সকলের সহযোগিতা চাই আবার ও ধন্যবাদ সকলকে ।
জটুডে/এহাই