যুক্তরাজ্য ব্যুরো অফিস :
২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ায় লন্ডন থেকে বাংলাদেশ সরকারকে স্বাগত এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন- ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ।
বুধবার ( ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২) পূর্বলন্ডনে — ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা তথা মহান শহীদদিবসের আলোচনায় বক্তারা এ অভিনন্দন জানান ।
ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি, ডেইলী স্টারের যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি- সাংবাদিক আনসার আহমদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক, সাপ্তাহিক বাংলা সংলাপ’র সিনিয়র রিপোর্টার মুহাম্মদ সাজিদুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- প্রবীন সাংবাদিক দৈনিক উত্তর পূর্বের যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি- মতিয়ার চৌধুরী,
গ্রেটব্রিটেনে বাঙালি মালিকাধিন একমাত্র ইংরেজি জনপ্রিয় পত্রিকা বাংলা মিররের বিশেষ প্রতিনিধি, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি- মুহাম্মদ শাহেদ রাহমান, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সেক্রেটারি- ব্রিটিশ বাংলা নিউজের সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান, বাংলানিউজ ইউএস ডটকমের যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি মুহাম্মদ সালেহ আহমদ, জগন্নাথপুর টাইমসের সিনিয়র রিপোর্টার আশরাফুল হুদা বাবুল প্রমুখ।
এ আলোচনায় বক্তার বলেন – ১৯৫২ সালে মাতৃভাষা “বাংলাকে “ রক্ষার জন্য প্রাণদানকারী শহীদদের পবিত্র রক্ত বৃথা যেতে পারেনা। শহীদদের এই আত্মত্যাগই বাংলা ভাষার জন্য মহান একুশে ফেব্রুযারি শহীদ দিবস আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
তাই এ শোকগাঁথা সুফল তাৎপর্য বিশ্বের মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। এরজন্য বাংলা ভাষাভাষী দেশ প্রেমিক সচেতন নাগরিকরাই সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে। পৃথিবীর সকল মাতৃভাষা রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
বক্তার বলেন – ২০২০ সালের ১০ মার্চ জয় বাংলা স্লোগানকে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে গ্রহণের জন্য হাইকোর্ট রায় প্রদান করেন।
দেরীতে হলেও ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জয় বাংলা হল একটি স্লোগান, যা বাংলাদেশে ও ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে বসবাসকারী বাংলাভাষা ভাষী মানুষেরা এ স্লোগান ব্যবহৃত করেন।
আর তাদের মুখের ভাষা, প্রাণের ভাষা হলো বাংলা।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম, কলকাতাসহ অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যে এ শ্লোগান ব্যবহৃত হয়।
বক্তারা আরো বলেন- ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই স্লোগান জনগণকে তাদের মুক্তিসংগ্রামে প্রবলভাবে প্রেরণা যুগিয়েছিল।
তৎসময়ে পূর্ববাংলা তথা আজকের বাংলাদেশ ও ভারতের বাঙালি অধ্যুষিত পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, বরাক উপত্যকার লোকেরাও বাঙালির ঐক্য বোঝাতে এর ব্যবহার করে থাকেন।
এর আগে বাঙালি কখনো এত তীব্র, সংহত ও তাৎপর্যপূর্ণ স্লোগান দেয়নি । যাতে একটি পদেই প্রকাশ পেয়েছে রাজনীতি, সংস্কৃতি, দেশ, ভাষার সৌন্দর্য ও জাতীয় আবেগ হলো “ জয় বাংলা “ ।
জয় বাংলা স্লোগান ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন বাঙালির প্রেরণার উৎস।
সফল অপারেশন শেষে বা যুদ্ধ জয়ের পর অবধারিত ভাবে মুক্তিযোদ্ধারা চিৎকার করে “জয় বাংলা” স্লোগান দিয়ে জয় উদ্যাপন করতেন।