মোঃ আব্দুল হাই ঃ- জগন্নাথপুর উপজেলার জ্ঞানী ও গুনীজনদের জন্মভূমি হিসেবে খ্যাত ভাটিরজনপদ বৃহৎ নলুয়া ও মইয়ার হাওর বেষ্ঠিত গ্রাম চিলাউড়ায় উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মোচনে কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই ) বিকেল ৭ টায় জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের চিলাউড়া গ্রামে কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
লন্ডনস্হ হোয়াইটচ্যাপেলের সোনারগাঁও রেস্টুরেন্টে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আনোয়ার উদ্দিন। শিক্ষানুরাগী ও বৃক্ষপ্রেমী আব্দুর রবের পরিচালনায় এবং হাফিজ কাউসার হোসাইনের কোর আন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় বক্তব্য রাখেন মোঃ ইয়াওর সাদিক,মোঃ সিরাজ মিয়া ,ব্যাবসায়ী মোতাহার হোসেন তারা মিয়া,মোঃ ময়না মিয়া,ব্যাবসায়ী মোঃ আলী হোসেন
,মোঃ আব্দুল জলিল,মোঃ রেজাউল ইসলাম (নুর),মো সাজ্জাদুল্লাহ সাত্তার,ব্যাবসায়ী মোঃ হুমায়ূন রশীদ মামুন,
মোঃ শহীদ খাঁন, ব্যাবসায়ী মোঃ আখলিছ খাঁন,মোঃ ফটিক মিয়া,মোঃ আবুল কালাম,মোঃ রফিকুল ইসলাম( হিরণ),মোঃ ফয়সল আহমেদ,মোঃ মহিম উদ্দিন ,মোঃ আখতার হোসেন,মোঃ লাহিন মিয়া,মোঃ হাবিবুর রহমান সহ আরো অনেকে।
সভায় বক্তারা বলেন বৃহত্তর চিলাউড়া গ্রামকে শিক্ষা সহ একটি সমৃদ্ধ জনপদে রূপান্তর করণে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস প্রত্যাশা করেন।
সভায় উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মোচনে কলেজ প্রতিষ্ঠার গুরত্ব তুলে ধরেন।এ ক্ষেত্রে দেশ ও প্রবাসে বসবাসরত বৃহত্তর চিলাউড়া গ্রামের সকল নাগরিক বৃন্দকে কলেজ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।
প্রসঙ্গতঃ- জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের গ্রামগুলোর সাথে এক কালে বর্ষায় নৌকা আর হেমন্তে পাঁয়ে হেঁটে লোকজন তাদের গন্তব্যে পৌছাতেন।
কালের পরিবর্তে বিচ্ছিন্ন জনপদের চিত্র অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে।
এখন পুরো মৌসুমেই দুই/একটি গ্রাম ছাড়া ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের সাথে সড়ক যোগাযোগ সৃষ্ঠি হওয়ায় জনসাধারন র্নিবিঘ্নে তাদের গন্তব্য স্থানে যানবাহন দিয়ে পৌছাতে পারছেন।
বিশেষ করে ইউনিয়নের বৃহৎ গ্রাম চিলাউড়ার সাথে উপজেলা সদরের পুরো মৌসুমেই যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে।
এছাড়াও ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে শতভাগ বিদ্যুৎ সঞ্চালন চালু হওয়ায় প্রতিটি গ্রামের জনসাধারন নাগরিক সুবিধার সুফল ভোগ করছেন।
চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের বৃহত্তর চিলাউড়া গ্রামটি শিক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বনাম রয়েছে।
বিশেষ করে লন্ডন আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি ব্যাবসা বানিজ্যিক কাজে অধিকাংশ লোকজন রয়েছেন।
প্রবাসে বসবাসরত চিলাউড়া গ্রামের শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক, দানশীল ব্যক্তিগণ বৃহত্তর চিলাউড়া গ্রামকে শিক্ষা সহ সর্বক্ষেত্রে আলোকিত করার প্রয়াসে দেশে বসবাসরত গুণিজনদের সমন্বয়ে বৃহত্তর চিলাউড়া গ্রামকে একটি সমৃদ্ধ গ্রামে রুপান্তর করনে কাজ করে যাচ্ছেন।
সেই লক্ষ্য নিয়ে চিলাউড়া গ্রামে কলেজ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
একজন সমাজ সচেতন শিক্ষানুরাগী দানশীল ব্যক্তিত্ব যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য ব্যাবসায়ী সংগঠনের নেতা বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী জনবান্ধব, ন্যায়ের প্রতি অবিচল, একজন নিষ্ঠাবান সমাজ উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ পুরুষ মোঃ হুমায়ূন রশীদ মামুন ও আব্দুর রহিম সহ শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিগন বিগত তিন বছর পূর্বে তাদের জন্ম মাটি চিলাউড়া গ্রামে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় কলেজ প্রতিষ্ঠা নিয়ে স্বপ্ন দেখেন।
এরই ফলশ্রুতিতে দেশ ও প্রবাসে বসবাসরত বৃহত্তর চিলাউড়া গ্রামের শিক্ষানুরাগী সমাজসেবক দানশীল ব্যক্তিগণ উচ্চ শিক্ষার আলো জ্বালাতে মনোযোগী হন।
চিলাউড়া গ্রামে কলেজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বৃহত্তর চিলাউড়া গ্রামের তরুন প্রজন্ম সহ সকল বয়েসী লোকজনদের মধ্যে একটি আনন্দমূখর উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।
শীঘ্রই কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করা হবে বলে কলেজ বাস্তবায়নের নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন।
উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মোচনের মধ্য দিয়ে একটি আধুনিক সমৃদ্ধ আলোকিত জনপদে বৃহত্তর চিলাউড়া গ্রাম পদার্পণ হোক এমন প্রত্যাশা দেশ ও প্রবাসে বসবাসরত সকল নাগরিক বৃন্দের।