সর্বশেষ সংবাদ:
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের উদ্যােগে জগন্নাথপুরে মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত জগন্নাথপুরে হাওর রক্ষা বাঁধের ২৮নং পিআইসির কাজ শুরু জগন্নাথপুরে হাওর রক্ষা বাঁধের কাজের উদ্বোধন ধনিয়া টাইগারস ইকড়ছই ক্রিকেট ক্লাবের টিম ডাইরেক্টর ইমরান উদ্দিনকে সংবর্ধনা জগন্নাথপুরের কৃতি সন্তান ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ইশমাম’কে সংবর্ধনা হালিমা খাতুন এডুকেশন ট্রাস্ট’র ১৮তম বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ জগন্নাথপুরে রাইজিং ওয়ারিয়র্স ক্রিকেট ক্লাবের ২০২৪-২০২৫ মৌসুমের জার্সি উন্মোচন করা হয়েছে জগন্নাথপুরে স্টুডেন্ট কেয়ারের শীতবস্ত্র বিতরণ স্পেন বিএনপি নেতা এম এ আজিম উদ্দিনকে জগন্নাথপুর বিএনপি নেতৃবৃন্দের ফুলেল শুভেচ্ছা মিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয় ভাংচুরের মামলায় আওয়ামীলীগের ৩ নেতার জামিন না মঞ্জুর 

আন্তর্জাতিক বীরঙ্গনা দিবস পালন করা হোক- লন্ডনে লেখক সিলভিয়া পন্ডিত

মুহাম্মদ শাহেদ রাহমান, লন্ডন : 

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী আপাদমস্তক বাঙালি-বাংলাদেশী লেখক সিলভিয়া পন্ডিত বলেছেন, তাঁর লেখালেখির উদ্দেশ্যই হলো বাঙালির গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানানো। বাংলাদেশের  মুক্তিযুদ্ধের কথা, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদদের কথা, বীরাঙ্গনাদের কথা, বঙ্গবন্ধুর কথা লেখালেখির মাধ্যমে তুলে ধরতে চাই, বিশ্ববাসীকে জানাতে চাই  । 

তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্ববাসীর কাছে ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী তুলতে চাই, এতসব দিবস প্রতিনিয়ত পালন হচ্ছে , বাংলাদেশের ৭১’র বীরঙ্গনাদের সম্মান জানিয়ে আন্তর্জাতিক বীরঙ্গনা দিবস পালন করা হোক। 

তাছাড়া আমি চাই দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে প্রবাসেও যাতে বেড়ে ওঠে আমাদের প্রতিটি প্রজন্ম।  সেই চেষ্টারই অংশ আমার এই লেখালেখি, আমার এই গ্রন্থগুলি ।

বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনে লেখক সিলভিয়া পন্ডিতের সম্মানে আয়োজিত এক  মতবিনিময় সভায় এই মন্তব্য করেন সিলভিয়া।

 বিশ্ববাংলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের অফিসে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক আনসার আহমেদ উল্লাহ। 

শাহ মুস্তাফিজুর রহমান বেলালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই মত বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ‘দ্য সাইলেন্ট টিয়ার্স’ এবং অন্যান্য বইয়ের বাঙালি লেখক সিলভিয়া পন্ডিত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর শৈশবের স্মৃতিচারণ করে বলেন, যুদ্ধের পর পরই রাজাকারদের হাতে মৃত্যূ হয় আমার বাবার। বাবার রেখে যাওয়া সব সম্পদও হারাতে হয় যুদ্ধের কারণে। বাবাহীন অবস্থায় তাদের ছোট ছোট ভাইবোনদের মানুষ করতে গিয়ে তাঁর মায়ের কষ্টের কাহিনীও মত বিনিময়ে তুলে ধরেন সিলভিয়া পন্ডিত। 

শিশুতোষ বয়সের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মনেকরে তিনি অনেকটা আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমার বাবাসহ সবকিছু ছিনিয়ে নিলেও এর চেতনা লালন করেই আমি বেঁচে থাকতে চাই সারাটা জীবন। 

৭৫ পরবর্তী সময়ের কথা স্মরণ করতে গিয়ে সিলভিয়া বলেন, এমন একটি সময় ছিল যখন জয় বাংলা বা বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা যেতো না। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধ ও এর নায়ক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ইতিহাস বিকৃতির কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বাঙালি জাতির জন্ম ইতিহাস যারা বিকৃত করার চেষ্টা করে, এই দেশে থাকারইতো তাদের কোন অধিকার নেই ।

মাওলানা ভাসানী, জিয়াউর রহমান ও খালেদার জিয়ার প্রসঙ্গ আসতেই সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- আমি আমার বইগুলোতে কারো সম্পর্কে নেগেটিভ লিখতে চাই না, অনেকের অনেক কথা লিখিনি, বাদ দিতে হয়েছে, তবে লিখবো, আমি এ নিয়ে পড়াশোনা করছি, গবেষনা করছি। 

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বইটির পর্যালোচনা করে এশিয়ান এইজ’র এডিটর ইন চার্জ সৈয়দ বদরুল আহসান বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বাঙালির ইতিহাস সম্পর্কে লেখার জন্য সিলেভিয়া পন্ডিত নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। প্রবাসে থেকেও দেশ মাটির জন্য তারঁ গবেষণা ও লেখালেখির মাধ্যমে বিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশকে, জানিয়ে দিচ্ছেন বাঙালির সঠিক ইতিহাস। 

তিনি তাঁর বক্তব্যে এক ফাঁকে ২০১৭ সালে প্রকাশিত সিলভিয়া পন্ডিত এর প্রথম বই ‘দি ডেকেড্স মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র’ ; দ্বিতীয় বই কবিতার  “আপনার কাছে ফেরা”, তৃতীয় বই “তুমি রবে নিরবে “, চতুর্থ বই  উপন্যাস “আলিশার চোখে জল “ এবং সর্বশেষ পঞ্চম বই একাত্তরের স্মৃতিচারণ মূলক ‘দি সাইলেন্ট টিয়ারস’ উপস্থিত পাঠক- দর্শকদের সামনের পরিচয় করিয়ে দেন। এ বইয়ের উপর দীর্ঘ আলোচনাও করেন। 

সিলভিয়া পন্ডিতকে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলর সোনাহর আলী বলেন, সিলভিয়া যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কবছর ধরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। লেগাটো ইভেন্ট নামে এক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত তিনি। ছোট ছোট বাঙালি শিশুদের নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস জানাতে সিলভিয়া নিয়মিত করেন বিভিন্ন প্রোগ্রাম। এছাড়াও তিনি আমেরিকার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথেও জড়িত আছেন।

সিলভিয়া পন্ডিতের  বক্তব্যের পর উন্মুক্ত আলোচনায় কথা বলেন, এনএনবি’র প্রতিনিধি মতিয়ার চৌধুরী, সত্যবাণীর সম্পাদক সৈয়দ  আনাস  পাশা, বেতার বাংলার আনিসুর রহমান আনিস, বাংলাপোস্ট এর সালেহ আহমেদ, অনলাইন ব্রিটবাংলার সাংবাদিক আহাদ চৌধুরী বাবু, স্বদেশ বিদেশের বতিরুল হক, ব্রিটিশবাংলা নিউজ ও জগন্নাথপুর টাইমস এর শাহেদ রাহমান, অভিনেতা স্বাধীন  খসরু, সাংবাদিক শোভন, এনটিভির মাসুদ, লন্ডনবাংলা প্রেস ক্লাবের নাজমুল হোসাইন, লেখক মেহেদী হাসান,  রুমি হোক, চলচিত্রকার রুহুল আমিন, রাজনৈতিক  কর্মী হোসনেয়ারা মতিন , বাংলা টিভির আব্দুল কাদির মুরাদ, সমাজকর্মী আহমেদ ফখর কামাল,  ফটোগ্রাফার খালিদ হোসাইন ও ফেইথ প্রিন্টার্স এর শাহেদ আহমেদ প্রমূখ। 

কাউন্সিলর রাজীব আহমেদের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

Spread the love
  • 15
    Shares

এ জাতীয় আরো খবর


পুরাতন সংবাদ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  

Like us on Facebook