জটুডে ডেস্কঃ-
বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর বার্ষিক বা তৃতীয় প্রান্তিক পরীক্ষা শেষ হবে। এ পরীক্ষার প্রশ্ন হবে ক্লাস্টারভিত্তিক। কম্পিউটার কম্পোজড প্রশ্ন ফটোকপি করে শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করতে হবে।
৬০ নম্বরের বার্ষিক পরীক্ষার সঙ্গে ক্লাস টেস্টের ৪০ নম্বর যোগ করে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে শিক্ষকদের।
পরীক্ষার জন্য অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো ফি নেয়া যাবে না। পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্ন ফটোকপি করে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করবে, এর ব্যায় নির্বাহ করা হবে স্কুলের বাজেটের আনুষাঙ্গিক খাত থেকে।
এভাবেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। রোববার এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
পরীক্ষার রুটিন :
জানা গেছে, সকাল নয়টা থেকে বেলা এগারোটা এবং বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দুই শিফটে পরীক্ষা নেয়া হবে।
৮ ডিসেম্বর সকাল ৯ নয়টা থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষা ও বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১১ ডিসেম্বর সকাল নয়টা থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির গণিত ও বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১২ ডিসেম্বর সকাল নয়টা থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা ও বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বাংলা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৩ ডিসেম্বর সকাল নয়টা থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সমাজ ও বিজ্ঞান এবং ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর সকাল নয়টা থেকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা ও বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এসব শ্রেণির চারু ও কারুকলা, সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আর ১৯ ডিসেম্বর সকাল নয়টা থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চারু ও কারুকলা, সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের ও বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা যেভাবে :
পরীক্ষা আয়োজনের পদ্ধতি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, প্রতি শ্রেণিতে প্রতি বিষয়ে পূর্ণমান ৬০ নম্বরের মধ্যে বার্ষিক মূল্যায়ন সম্পন্ন করতে হবে। সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসারের তত্ত্বাবধানে বিষয় শিক্ষকের মাধ্যমে জ্ঞান, অনুধাবন ও প্রয়োগমূলক শিখনক্ষেত্র বিবেচনায় ক্লাস্টারভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে।
মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের কাছ থেকে কোনো ফি গ্রহণ করা যাবে না। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী প্রশ্নপত্র কম্পিউটার কম্পোজ করে ফটোকপি করতে হবে।
প্রশ্নপত্র ফটোকপি ও উত্তরপত্রসহ (খাতা) আনুষাঙ্গিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের আনুষাঙ্গিক খাত বা স্লিপ ফান্ড থেকে ব্যয় নির্বাহ করতে হবে।
প্রয়োজনে আগামী বাজেট থেকে সমন্বয় করা যাবে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, কোনো অবস্থাতেই প্রশ্নপত্র ছাপাখানায় মুদ্রণ করা যাবে না।
প্রত্যেকটি বিষয়ে শ্রেণি মূল্যায়নের প্রাপ্ত নম্বর এবং চূড়ান্ত প্রান্তিকের প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে হবে এবং অভিভাবকদের অবহিত করতে হবে।
কোনো বিশেষ পরিস্থিতির জন্য মূল্যায়নের তারিখ ও সময়সূচি পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে থানা বা উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সিদ্ধান্তে তারিখ ও সময় পুননির্ধারণ করা যাবে।