ডেস্ক রিপোর্ট:
দীর্ঘ সঙ্গীতজীবনে তিনি বাংলা সঙ্গীতকে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছে দিয়ে পেয়েছেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা। সেই তিনিই বললেন, ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদকই নাকি তার জীবনের সবেচেয়ে বড় পদক। বলছিলাম, কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লার কথা।
(৩০ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক’। উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন। সম্মাননা হিসেবে রুনা লায়লাকে দেওয়া হয় একটি স্বর্ণপদক ও ১ লাখ টাকার চেক। পদক পেয়ে রুনা লায়লা বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে আমাকে জিজ্ঞেস করা হয় আপনাকে আমরা ফিরোজা বেগম পুরস্কার-২০১৮ দিতে চাইছি। আপনি কি গ্রহণ করতে রাজি আছেন? আমি বললাম, গ্রহণ না করার তো কোনো কারণই নেই! এটা আমাকে জিজ্ঞেস করাই উচিত হয়নি। কারণ এটা এত বড় একটা সম্মান! এত বিশাল একজন শিল্পীর নাম আছে এটাতে আমি কীভাবে গ্রহণ না করে থাকতে পারি! কারণ এটা আমার জীবনের জন্য অনেক বড় একটি স্বীকৃতি।
রুনা লায়লা আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী নজরুলগীতির জন্য এক নামে ফিরোজা আপাকে সবাই চেনেন। ওনার সময়ে আমাদের শিল্পীদেরকে যেভাবে উত্সাহ দিয়েছেন এটা বলার মতো না। ওনার সাথে খুব ঘনিষ্ঠ না থাকলেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার সাথে দেখা হয়েছে। ওইটুকুর মধ্যেই তিনি আদর করেছেন, আমাদের জন্য দোয়া করেছেন। আর এই মানুষটির নামে দেওয়া পদকটি আমাকে দেওয়া হলো, এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পদক হয়ে থাকবে। পৃথিবীতে গান যতদিন থাকবে ফিরোজা বেগম আপার নামও ততোধিক থাকবে। আমাকে যে পুরস্কার দেওয়া হলো এটা আমার কাছে অন্যরকম এক সম্মানের। কারণ এতে ফিরোজা বেগম আপার নামটি জড়িয়ে আছে।
জগন্নাথপুর টুডে/বিপ্লব