মুহাম্মদ শাহেদ রাহমান, লন্ডন :
আনন্দঘন পরিবেশে অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে ফলাফলের মাধ্যমেই যবনিকা টানা হলো লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের নির্বাচন-২০১৯ । এবারের নির্বাচনে সৈয়দ নাহাস পাশা টিম ও এমদাদুল হক চৌধুরী, এদুটি টিমে মোট ১৫টি পদের মধ্যে ৩০জন প্রার্থী হয়েছিলেন।
রবিবার ( ২৭ জানুয়ারি ২০১৯) পূর্বলন্ডনের স্থানীয় একটি হলে লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের ২০১৯-২০ কার্যকরী কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের পূর্বে একই ভ্যানুতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে যুক্তরাজ্যের প্রেস ক্লাবের অধিকাংশ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত থেকে ব্যাপক আলোচনায় অংশ গ্রহণ করে এজিএম কে প্রাণবন্ত করে তোলেন। এ সভায় সেক্রেটারি মোহাম্মদ জুবায়ের সম্পাদকীয় রিপোর্ট ,
ট্রেজারার আসম মাছুম বার্ষিক অর্থনৈতিক রিপোর্ট পেশ করেন এবং সভাপতি সৈয়দ নাহাস পাশা স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ প্রশ্ন-উত্তর পূর্বে উপস্থিত সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন । এজিএম শেষে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ২০১৯-২০ এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন এমদাদুল হক চৌধুরী ও মোহাম্মদ জুবায়েরের নেতৃত্বাধীন এমাদ-জুবায়ের প্যানেল। মোট ১৫টি পদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারীসহ ১০ টি পদ লাভ করেন এমাদ-জুবায়ের প্যানেল।
বিপরিতে ট্রেজারার, আইটি সেক্রেটারী ও কমিউনিকেশন সেক্রেটারীসহ মোট ৫টি পদ লাভ করেছেন সৈয়দ নাহাস পাশার নেতৃত্বাধীন টিম নাহাস পাশা।
নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী সৈয়দ নাহাস পাশাকে ১২ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী। সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাহাস পাশার মোট ভোটের সংখ্যা ১৫১ এবং মোহাম্মদ ইমদাদুল হক চৌধুরীর মোট প্রাপ্ত ভোট ১৬৩।
সাধারণ সম্পাদক পদে সাংবাদিক মোহাম্মদ জুবায়ের ৭৯ ভোটের ব্যবধানে আনিসুর রহমান আনিছকে হারিয়ে পুন:নির্বাচিত হয়েছেন। মোহাম্মদ জুবায়ের পেয়েছেন ১৯২ ভোট, আনিসুর রহমান আনিছ পেয়েছেন ১১৩ ভোট।
কোষাধ্যক্ষ পদে সাংবাদিক আবু সালেহ মোহাম্মদ মাসুম তার আগের অবস্থান ধরে রেখেছেন।
এ নির্বাচনে সাবেক কোষাধ্যক্ষ আবু সালেহ মোহাম্মদ মাসুম পেয়েছেন ২০০ ভোট, আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ পেয়েছেন ১০৭ ভোট। আসম মাছুম পুন:নির্বাচিত হয়ে আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদকে ৯৩ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন।
এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি পদে মতিউর রহমান চৌধুরী হারিয়েছেন মোহাম্মদ সোবহানকে। মতিউর রহমান চৌধুরী ৫৩ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন গত বারের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ সোবহানকে। মতিউর রহমান চৌধুরীর প্রাপ্ত ভোট ১৭৮ আর মোহাম্মদ সোবহান পেয়েছেন ১২৫ ভোট।
কমিউনিকেশন সেক্রেটারি হিসেবে এম এ কাইয়ুম হারিয়েছেন জাকির হোসেন কয়েছ কে। এম এ কাইয়ুম এর প্রাপ্ত ভোট ১৬৪, জাকির হোসেন কয়েছ পেয়েছেন ১৩৯।
ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ সেক্রেটারি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইব্রাহিম খলিল মাত্র ৪ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন শক্ত প্রতিদন্দ্বি আহাদ চৌধুরী বাবু কে।
সাবেক ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ সেক্রেটারি ইব্রাহিম খলিলের প্রাপ্ত ভোট ১৫৫, আহাদ চৌধুরী বাবু‘র প্রাপ্ত মোট ভোট ১৫১।
ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজি সেক্রেটারি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আনোয়ার শাহজাহানকে হারিয়েছেন সালেহ আহমদ।
আনোয়ার শাহজাহানের মোট প্রাপ্ত ভোট ১২৮ আর সালেহ আহমদ পেয়েছেন ১৮০ ভোট। সালেহ আহমদ ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজি সেক্রেটারি পদে পুন:নির্বাচিত হলেন।
ইভেন্টস এন্ড ফেসিলিটিজ সেক্রেটারি পদে আজহার ভুঁইয়াকে হারিয়েছেন রেজাউল করিম মৃধা। আজহার ভুঁইয়ার মোট প্রাপ্ত ভোট ১৩৫ আর রেজাউল করিম মৃধা পেয়েছেন ১৭১।
নির্বাহী সদস্য পদে মোট ৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ১১ জন প্রার্থী। বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- আব্দুল কাইয়ুম ১৯১ ভোট, রুপি আমিন ১৬৫ ভোট, মো. এমরান আহমদ ১৫৭ ভোট, পলি রহমান ১৫৭ ভোট, নাজমুল হোসেইন ১৫৬ ভোট, এবং শাহনাজ সুলতানা ১৪৭ ভোট।
উল্লেখ্য নির্বাহীসদস্যপদে মোট ৬জন বিজয়ীর মধ্যে ৩ জনই নারী সদস্য বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব বজলুর রশীদ এমবিই, আজিজ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার আনোয়ার বাবুল মিয়া।