সর্বশেষ সংবাদ:
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের উদ্যােগে জগন্নাথপুরে মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত জগন্নাথপুরে হাওর রক্ষা বাঁধের ২৮নং পিআইসির কাজ শুরু জগন্নাথপুরে হাওর রক্ষা বাঁধের কাজের উদ্বোধন ধনিয়া টাইগারস ইকড়ছই ক্রিকেট ক্লাবের টিম ডাইরেক্টর ইমরান উদ্দিনকে সংবর্ধনা জগন্নাথপুরের কৃতি সন্তান ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ইশমাম’কে সংবর্ধনা হালিমা খাতুন এডুকেশন ট্রাস্ট’র ১৮তম বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ জগন্নাথপুরে রাইজিং ওয়ারিয়র্স ক্রিকেট ক্লাবের ২০২৪-২০২৫ মৌসুমের জার্সি উন্মোচন করা হয়েছে জগন্নাথপুরে স্টুডেন্ট কেয়ারের শীতবস্ত্র বিতরণ স্পেন বিএনপি নেতা এম এ আজিম উদ্দিনকে জগন্নাথপুর বিএনপি নেতৃবৃন্দের ফুলেল শুভেচ্ছা মিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয় ভাংচুরের মামলায় আওয়ামীলীগের ৩ নেতার জামিন না মঞ্জুর 

এমআইটিতে পড়ার জন্য আড়াই লাখ পাউন্ডের বৃত্তি পেলেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি ইউসুফ আহমেদ

লন্ডন অফিস:
বিশ্বের বিখ্যাত বিদ্যাপীঠদের একটি এমআইটিতে পড়ার জন্য আড়াই লাখ পাউন্ডের বৃত্তি পেলেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি ইউসুফ আহমেদ । ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু কপাল যদি না হয় ফাঁকা, ঘুরতে পারে ভাগ্যের চাকা। ঠিক তাই হয়েছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ ইউসুফ আহমেদের (১৮) ক্ষেত্রে। সম্প্রতি ব্রিটিশ বাঙালি মেধাবী শিক্ষার্থী ইউসুফ সুযোগ পেয়েছেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) পড়ার। শুধু যে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন তাই-ই নয়। একই সঙ্গে পেয়েছেন আড়াই লাখ পাউন্ডের বৃত্তি।ইউসুফ আহমেদের মা শিফা বেগম (৩৯)। তিনি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ ছেড়েছেন। লন্ডনে একজন অপটিশিয়ানের রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। এখন তিনি সিঙ্গেল মাদার। তার ছেলে ইউসুফকে ক্যামব্রিজ প্রত্যাখ্যান করার পর যেন ভাগ্যের চাকা সত্যি সত্যি ঘুরে গেছে। আড়াই লাখ পাউন্ড বৃত্তি নিয়ে পড়তে যাওয়া এটা চাট্টিখানি কথা নয়। তাও আবার বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমআইটি’তে ইউসুফ পড়াশোনা করবেন পদার্থ বিজ্ঞান ও মহাশূন্য বিষয়ক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া না দিয়ে ইউসুফ বেছে নিয়েছেন এমআইটি’কে। মা শিফা বেগম ও ছোট দুই ভাইকে নিয়ে লন্ডনে তাদের বসবাস। এমআইটিতে পড়ার সুযোগ পেয়ে ইউসুফের যেন স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কারণ, মহাশূন্য বিষয়ে তিনি সব সময়ই আগ্রহী। রাতের বেলা বেশির ভাগ সময় টেলিস্কোপ নিয়ে আকাশে চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। এখন আর তা করতে হবে না। তার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। এ- লেভেলে ম্যাথ, ফারদার ম্যাথ, ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রি পড়ার সময়ই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া সম্পর্কিত পরীক্ষা দেন। এতেই জুটে যায় বৃত্তি । এ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, যখন ক্যামব্রিজ আমাকে প্রত্যাখ্যান করলো, হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল। সত্যিকার অর্থে বলছি, আমি কখনো ভাবিনি যে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাবো। এরপর এমআইটির চিঠি এলো। তারপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চিঠি। মহাকাশ বিষয়ক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য যেহেতু এমআইটি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়, তাই আমি এটিকেই বেছে নিলাম। এক্ষেত্রে আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন আমার শিক্ষকরা। মানব জাতির জন্য অর্থবহ এমন কিছু আবিষ্কার করতে চাই। এই কৃতিত্বের জন্য তার মায়ের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ইউসুফ। ইউসুফ বলেন, আমার মা সব সময়ই আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। যখনই স্কুলে কোনো প্রয়োজন হতো, অথবা বইয়ের দরকার হতো, সবই মিটিয়েছেন মা। মা ও শিক্ষকদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।

Spread the love

এ জাতীয় আরো খবর


পুরাতন সংবাদ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  

Like us on Facebook