ডেস্ক নিউজ
কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিব্রিউনের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদন্ড দেওয়ার ঘটনায় মামলা ও সাজা সংক্রান্ত তথ্যাদি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষকে সোমবারের মধ্যে এ বিষয়ে তথ্যগুলো জানাতে বলা হয়েছে। বিচারপতি মো: আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো: রাশেদ জাহাঙ্গীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন।
পাশাপাশি এ বিষয়টি সোমবার কার্যতালিকায় পরবর্তী আদেশের জন্য রাখা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪০ জনের একটি টিম সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে সাজা দেওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে রবিবার হাইকোর্ট বলেন, একজন সাংবাদিককে ধরতে মধ্যরাতে তার বাসায় ৪০ জনের বিশাল বাহিনী গেলো, এ তো বিশাল ব্যাপার! তিনি কি দেশের সেরা সন্ত্রাসী? আদেশ অনুসারে, সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে দেওয়া সাজা ও দন্ডের আদেশের অনুলিপি, অভিযান কারা পরিচালনা করেছে মোবাইল কোর্ট নাকি টাস্কফোর্স, রাতে অভিযান পরিচালনার বিষয়ে আইন অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, অভিযান পরিচালনার কারণ এবং আইন অনুসারে ঘটনা কার সামনে কখন সংঘটিত হলো তা জানাতে হবে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য। অন্যদিকে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের পক্ষে করা রিটের ওপর শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এর আগে রবিবার দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক হারুন উর রশীদ জনস্বার্থে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্নিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন।
রিট আবেদনে টাস্কফোর্সের নামে আরিফুল ইসলামকে অবৈধ সাজা ও আটক করা কেন সংবিধান পরিপন্থি হবে না এবং আরিফুল ইসলামকে ৫০ লাখ টাকা কেন ক্ষতিপুরণ দেওয়া হবে না- এ মর্মে রুল জারিরও আর্জি জানানো হয়। এছাড়াও কুড়িগ্রামের ডিসি, সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তাদের ভুমিকার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তলবের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি আরিফের বিরুদ্ধে করা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলার নথি এবং টাস্কফোর্স পরিচালনার নথি তলবের আদেশ চাওয়া হয়েছে। আদেশের পর রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, দেশের কিছু কিছু জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোগল সম্রাটের মতো আচরণ করছেন। সরকারের কাছ থেকে বেতন নিয়ে তাদের অনেকে সরকারকেই বিপদে ফেলতেই ষড়যন্ত্র করছেন। কুড়িগ্রামের ঘটনাও তেমনই একটি।