ডেস্ক নিউজ::
সব শিশুর জন্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় আরও ১ হাজারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর এ লক্ষ্যে তথ্য সংগ্রহে প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্কুলবিহীন এলাকাগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে এক মাসের মধ্যে বিদ্যালয় নির্মাণের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করতে বলা হয়েছে কমিটিকে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, এখনো দেশের অনেক গ্রামে কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। পাহাড়, হাওড়, চর ও উপকূলীয় এলাকায় এর সংখ্যা বেশি। কোন কোন গ্রাম থেকে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যেও কোনো স্কুল নেই। ফলে এসব দুর্গম এলাকার শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষাবঞ্চিত হচ্ছে।
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দুর্গম এলাকার এসব শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্কুল বিহীন এলাকায় ১ হাজারটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের নতুন প্রকল্প খুব শিগগিরই হাতে না হচ্ছে। ইতোমধ্যেই জিপিএস ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যালয়বিহীন এলাকা চিহ্নিত করে উপজেলা ভিত্তিক ম্যাপ তৈরি করেছে এলজিইডি। বিদ্যালয়বিহীন এলাকাগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে এবং বাস্তব অবস্থার সাথে মিলিয়ে বিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে গত ১৫ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরও জানায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক, সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রকৌশলী এবং সহকারী বা উপসহকারী প্রকৌশলীকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। আর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। এলজিইডির প্রস্তুত করা ম্যাপের বিদ্যালয়বিহীন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে স্কুল নির্মাণের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করবে এ কমিটি।
ম্যাপ এর বাইরে থাকা কোন এলাকায় যদি বিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রেও তা পরিদর্শন করে বিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে কমিটিকে। আগামী এক মাসের মধ্যে বিদ্যালয়বিহীন এলাকা চিহ্নিত করে বিদ্যালয় স্থাপনের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব সরাসরি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে কমিটিকে।