জগন্নাথপুর টুডে ডেস্ক:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার(১৮ জুন) দুপুরে ঐ প্রবাসীর স্ত্রীসহ চেয়ারম্যানকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়নের পরপর দুবারের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, একই ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা গ্রামের প্রবাসী সবুজ মিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে যান চেয়ারম্যান লতিফ।
প্রথমদিকে কয়েক মাস তারা গোপনে মেলামেশা করলেও সম্প্রতি দিনের বেলায় একে অপরের বাড়িতে আসা যাওয়া করতে থাকে। এলাকার লোকজনের নজরে আসে তারা।
গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটায় প্রাবাসীর স্ত্রী ও চেয়ারম্যান লতিফ বাড়ির একটি কক্ষে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হলে, স্থানীয় লোকজন বাড়ির চারপাশ ঘিরে রেখে ৯৯৯-এ ফোন দেয়। কিছু সময় পর স্থানীয় থানা পুলিশ তাদের ঘটনাস্থল থেকে আটক করে মুরাদনগর থানায় নিয়ে আসে।
চেয়ারম্যান লতিফের পরিবারে লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, তার স্ত্রী ও সন্তান চট্টগ্রাম জেলা শহরে বাস করেন। সেই সুবাদে চেয়ারম্যান লতিফ বাড়িতে একাই থাকেন।
আটক লতিফ চেয়ারম্যান বলেন, আমি আমার দলের রাজনৈতিক শিকার। আমার অপর পক্ষ ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসিয়েছে।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ একে এম মনজুর আলম বলেন, ‘৯৯৯ থেকে আমরা একটি ফোন পাই। জানতে পারি চেয়ারম্যান লতিফ এক মহিলা নিয়ে তার এলাকায় একটি কক্ষে আছেন এবং এলাকাবাসী তাকে ঘিরে রেখেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা দেখতে পাই অনেক লোকজনের সমাগম।
চেয়ারম্যান যে মহিলাকে নিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় ছিলেন তাকে তিনি স্ত্রী পরিচয় দেন। কিন্তু তার স্বপক্ষে কোন প্রমান দিতে পারেননি চেয়ারম্যান। প্রবাসীর স্ত্রীও তার স্বামীকে তালাক দেওয়ার কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি।
তাই তাদেরকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে আটক করে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।
জ.টুডে- বিডিএন