মো: আব্দুল হাই ::
সুনামগঞ্জের ছাতক থানা পুলিশের দু:সাহসীক অভিযানে চাঞ্চল্যকর ফখরুল আলম হত্যাকান্ডের খুনী নুর আলী সহ তার দুই সহযোগিকে গ্রেফতার করা হয়েছে । উদ্ধার করা হয়েছে ছাতক রেলওয়ে গোডাউনের চুরি হওয়ায় মালামাল । মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছাতক থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান পিপিএম এর নেতৃত্বে পুলিশ দল মঙ্গলবার ৭ জুলাই গভীর রাতে ছাতক উপজেলার জয়নগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে খুনী নুর আলীকে (৪০) গ্রেফতার করেন। সে ওই গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে ।
গ্রেফতারকৃত নুর আলীর তথ্যের ভিত্তিতে সিলেট মহানগরীর চাঁদনীঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিলাদ হোসেন ও পরান মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। জানাযায় , ছাতক রেলওয়ের নিরাপত্তা প্রহরী ফখরুল আলম গত মাসের ২৯ জুন সোমবার প্রতিদিনের ন্যায় রাত ১০টায় ছাতক রেলওয়ের বিআর গোডাউনের মুল ফটক তালাবদ্ধ করে গোডাউনের ভেতরে ডিউটিরত ছিলেন।
অজ্ঞাত নামা দুষ্কৃতকারীরা গোডাউনের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে নৈশ প্রহরী ফখরুল আলমকে নির্মম ভাবে হত্যা করে গোডাউন থেকে রেলওয়ের লৌহ জাতীয় বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ডিউটি শেষে নিজ বাসায় ফেরার কথা থাকলেও ফখরুল আলম বাসায় না ফেরায় নিহত ফখরুল আলমের সপ্তম শ্রেনীতে পড়–য়া ছেলে গোডাউনে এসে তার বাবার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়।
ঘটনাটি থানায় জানানো হলে, দ্রæত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান বিপিএম সহ সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম, ছাতক সার্কেল এএসপি, ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে ফখরুল আলম হত্যাকান্ডের ঘটনায় ছাতক থানায় মামলা দায়ের হয়। সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা মামলার দায়িত্ব পান ছাতক থানার উপ-পরিদর্শক এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম।
তিনি ফখরুল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন সহ ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করার লক্ষে অভিযানে নামেন। সহকারি পুলিশ সুপার ছাতক সার্কেল বিল্লাল হোসেন এর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম ছাতক থানার অফিসার ফোর্সদের সহায়তায় মঙ্গলবার (৭ জুলাই ) গভীর রাতে ছাতক উপজেলার জয়নগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর ফখরুল হত্যার ঘটনায় জড়িত খুন , ডাকাতি ,ছিনতাই , চুরি সহ ৯ মামলার কুখ্যাত আসামী নুর আলীকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত নুর আলীর দেয়া তথ্যমতে সিলেট মহানগরীর চাঁদনীঘাট এলাকা থেকে রেলওয়ের মালামাল ক্রয় বিক্রয় সহ হেফাজতে রাখার দায়ে মিল্লাদ হোসেন ও পরান মিয়াকে গ্রেফতার করেন। এসময় তাদের হেফাজত থেকে রেলওয়ের চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়। উপ পরিদর্শক হাবিবুর রহমান পিপিএম জানান, গ্রেফতারকৃত ৩জন হত্যা মামলার সাথে জড়িত থাকার কথা বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে।