নিজস্ব প্রতিবেদক::
বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ বাংলাদেশে ছড়িয়ে পরার শুরু থেকেই ব্র্যাক সুনামগঞ্জ জেলায় সরকারী সেবা সংস্থার পাশাপাশি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য বিষয়ক নানারকম জনসচতেনামূলক কর্মকান্ডে সক্রয়ি ভূমিকা পালন করে আসছে।
সরকারী নির্দেশনা মেনে সকল ধরনের মিটিং/সেমিনার/ওয়ার্কসপ/প্রশিক্ষণ/সমন্বয়সভা/উঠান বৈঠক/ভিডিওমিটিং বন্ধ করে ব্র্যাক তার সকল কর্মসূচির মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাসহ সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিসহ অতিদরিদ্র ৩০ হাজারটি পরিবারের মাঝে হেন্ড-ওয়াশ/স্যানিটাইজার বিতরন,সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ২ লক্ষ লিফলেট বিতরণ, আইইডিসিআর এর নাম্বারযুক্ত স্টীকার মসজিদ, কমিউনিটিতে বিতরণ এবং দেয়ালে টাঙানো, হাত ধোয়ার নিয়ম সম্পর্কে তৃণমূল পর্যায়ের জনসাধারনকে দেখানো সহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করে।
পাশাপাশি মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটিী (এমআরএ) নির্দেশনা অনুযায়ী ব্র্যাক মার্চ-২০২০ এর শেষ সপ্তাহ থেকে ক্ষুদ্র-ঋনের কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে।
ব্র্যাকের ক্ষুদ্র-ঋণ কার্যক্রম সহ অন্যান্য কর্মসূচির নিয়মিত প্রায় ১০০০ কর্মী এবং মাঠপর্যায়ের দুই হাজারেরও অধিক সেবাকর্মী কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি নিশ্চিতকল্পে, লিফলেট বিতরন, এলাকায় মাইকিং, বিভিন্ন বাজারে সামাজিক দুরুত্ব চিহ্নিতকরণসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে। এরই সাথে সাধারন জনসাধারনসহ সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে আসছে। এই সংকটময় অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর সহায়তার জন্য ব্র্যাক সুনামগঞ্জ জেলায় ১২৫০০টি পরিবারকে ১৫০০ টাকা করে নগদ অর্থ/ বিকাশের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করেছে।
পাশাপাশি ক্ষুদ্র্্ঋণ কর্মসূচির যে সকল সদস্য/ সদস্যা অর্থনৈতিক এবং খাদ্য সংকটের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন তাদের সহযোগিতার লক্ষ্যে এ পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলায় প্রায় ২০০০০ জন সদস্য/ সদস্যাকে সঞ্চয় ফেরত প্রদান করা হয়েছে এবং এই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ব্র্যাকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুল হান্নান বলেন- জাতীয় সংকটের এই পর্যায়ে কর্মহীন, পূঁজিহীন কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়াবার লক্ষ্যে সদস্য/সদস্যাদের আর্থিক প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে এমআরএ এর নির্দেশনা মেনে ব্র্যাক ক্ষুদ্র্্-ঋণ কর্মসূচির কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
৩০জুন পর্যন্ত কিস্তি কালেকশন বন্ধ রেখে সদস্যদের মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ঋণ কার্যক্রম সচল রাখা হয়েছে। ফলে নি¤œ আয়ের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী উপকৃত হচ্ছেন।
জে টু ডে/জে.এম