বুরহান উদ্দিন::
করোনা যুদ্ধে এক সংগ্রামী চিকিৎসকের নাম ডা. টিএম ইমরান আহমেদ। তিনি চলমান মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সম্মূখসমর যোদ্ধা হিসেবে জীবন বাজি রেখে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে তিনি ২৫০ শয্যা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচেছন। করোনাকালে নিজের জীবন বাজি রেখে চিকিৎসাসেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় ডা. টিএম ইমরান আহমেদ এখন সর্বমহলে প্রশংসিত।
জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের পালপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ডা. টিএম ইমরান আহমেদ। ৩ ভাই এবং ২ বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।
তার পিতা মাস্টার সমুজ মিয়া তালুকদার ছিলেন পালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালিন প্রধান শিক্ষক ও মাতা মোছা. মিনা বেগম একজন আদর্শ গৃহিনী। এছাড়া তার ছোট বোন ডা. টিএম সাজেদা নগরীর পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত আছেন এবং ছোটভাই টিএম ফারহান আহমেদ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত ।
পিতা-মাতা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অনুপ্রেরণায় ডা. টিএম ইমরান আহমেদর পথচলা। তিনি সিলেট নগরীর জালালাবাদ রাগীব রাবেযা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাশ করে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কান, গলা রোগ বিষয়ে উচচতর কোর্স ডিএলওতে অধ্যায়নরত আছেন।
৩৯ বিসিএস এ নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে সহকারী সার্জন হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। একান্ত সাক্ষাৎকারে ডা. টিএম ইমরান আহমেদ জানান, ‘পিতা-মাতা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অনুপ্রেরণায় মানবসেবার পথ বেছে নিয়েছি।’ তিনি জানান, মরনব্যাধি করোনাভাইরাস আতঙ্ক সবার মাঝে রয়েছে। তিনিও এর বাইরে নন। তারপরেও মানুষের কথা চিন্তা করে তার এই ছুটে চলা।
করোনা মহামারীর এই সময়ে অফিস বা ঘরে বসে থাকলে চলবে না। সুস্থ মানুষ যেনো করোনায় আক্রান্ত না হয় কিংবা ওই সময়ে যাতে মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না থাকে সেই লক্ষ্যে তিনি বিশেষ উপায়ে প্রচার প্রচারণাসহ নিয়মিত মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
এসবের মূলে তার বাবা ও পরিবারের অনুপ্রেরণো রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে দেখেছি আমার পিতা মানুষের দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছেন। সেজন্য আমিও আমার পিতাকে অনুসরণ করছি। বিশেষ করে এই মহামারির সময়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা চিকিৎসকদের।
তাই আমি আমার কর্মস্থল ২৫০শয্যা বিশিষ্ট সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নির্ভয়ে রোগীর চিকিৎসা দিয়ে আসছি। জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত যেনো মানুষের চিকিৎসাসেবা দিতে পারি সেজন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।