জগন্নাথপুর টুডে ক্রীড়া ডেস্ক:
শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ৯ রান। কিন্তু বল হাতে যথারীতি প্রস্তুত ছিলেন রশীদ খান। ওভার শেষে তাই টাইগার ভক্তদের শঙ্কায় সত্যি প্রমাণিত হলো। নিরপেক্ষ ভেন্যু থেকে মাথা নত করে প্যাভিলিয়নে ফিরলো টাইগার বাহিনী।
তৃতীয় এবং শেষ টি-২০ ম্যাচটিতে অবশ্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছে টাইগাররা। তারপরও প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে শূন্য হাতেই ফিরতে চলেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। মূলত এক রশীদ খানই প্রত্যেকটি ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিলেন এই সিরিজে।
ইনিংসের আঠারোতম ওভারে বল করতে এসে মাত্র তিন রান দেন এই আফগান আবিষ্কার। ঠিক তার পরের ওভারের প্রথম পাঁচ বলের পাঁচটিতেই বাউন্ডারি হাকিয়ে ম্যাচের মোড় প্রায় ঘুরিয়েই ফেলেছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু ওভারের শেষ বলে এক রান নেবার সময় তিনিও জানতেন ইনিংসের শেষ ওভারে আবার আসছেন রশীদ খান।
রশীদ খান বল করতে আসলেন এবং মুশফিকুর রহিমের উইকেটটাও তুলে নিলেন প্রথম বলেই। সেই সঙ্গে ম্যাচের গতিপথ খেলার অন্তিম মূহুর্তে আবারো পাল্টে দিলো আফগানরা। এই নিয়ে সিরিজের তিন ম্যাচে ৪৯ রান দিয়ে মোট আটটি উইকেট শিকার করলেন রশীদ খান। রশীদ খান মানে রান চেক শুধু নয়। রশীদ খান মানে ব্যাটসম্যানদের সর্বদা উইকেট হারানোর ভয়।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে রশীদ খান তাই একটু বিশেষ কিছুই। যা কিনা টাইগার রস্টারে নেই। হোক ফাস্ট বোলার কিংবা স্পিনার। অন্যান্য সব সমস্যা থেকে রশীদ খান, রবিচন্দ্র অশ্বিনের মতো গেম চেঞ্জিং বোলারের অভাব তাই প্রকট বর্তমানের এই লড়াকু বাংলাদেশ দলে। যার উপর কিনা ইনিংসের যেকোন মূহুর্তে, যেকোন উইকেটে অধিনায়ক ভরসা করতে পারেন।
বিশেষ করে মুস্তাফিজরা যেখানে শুধুমাত্র কালেভদ্রেই ভেল্কি দেখান সেখানে এমন একজন ধারাবাহিক ঘাতক রশীদ খানের আগমনের অপেক্ষাতেই আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
সুত্র-ঢা.টাইমস ৮ জুন ২০১৮/বিডিএন