জগন্নাথপুর টুডে ডেস্ক:
আলমডাঙ্গার পাইকপাড়া গ্রামে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে অজ্ঞাত তিনজন মিলে রাতভর ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৬ মে শনিবার গভীর রাতে ওই ঘটনা ঘটলেও তা ধর্ষিতার শশুর বাড়ির লোকের চাপে গোপন রাখা হয়। ধর্ষিতাকে একটি ঘরে আটকে রাখে তার শ্বশুর-শাশুড়ী ও ননদের স্বামী। পরে ধর্ষিতার পিতা এসে মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। আজ সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে।
থানার ওসি (তদন্ত) লুৎফুল কবীর জানান, শনিবার রাতে পাইকপাড়া গ্রামের আনোয়ার মালিথার ছেলে মামুনকে তিনজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ডেকে মাঠের ভেতরে নিয়ে যায়। এরপর আধা ঘন্টা পর মামুনের স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সেই মাঠে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর মামুনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই তিনজন।
মামুন জানান, একটি গাছের সঙ্গে তাকে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে তিনজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। অজ্ঞাত ওই তিনজনকে তিনি চিনতে পারেননি। তবে দেখলে তাদেরকে চিনতে পারবেন বলে মামুন জানান।
এদিকে, পরদিন সকালে ধর্ষনের ঘটনা শোনার পর মামুনের বাবা-মা ও বোনের স্বামী পুরো ঘটনা চেপে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এমনকি ধর্ষিতাকে বাড়ির বাইরে যেতেও বিধি আরোপ করেন তারা। এক পর্যায়ে ঘরের ভেতর বন্দী করে রাখা হয় ধর্ষিতাকে।
এ সংবাদ পেয়ে ধর্ষিতার পিতা ইউনুস আলী রাজবাড়ির পাংশা থেকে আলমডাঙ্গার পাইকপাড়া গ্রামে আসেন। এসে মেয়েকে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে উদ্ধার করে রবিবার(২৭মে) রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে আলমডাঙ্গা থানায় এসে তিনি বাদী হয়ে মেয়ের শ্বশুর, শ্বাশুড়ী ও ননদের স্বামী নওলামারী গ্রামের মিরাজুলকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রবিবার রাতেই এই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
অজ্ঞাত তিন ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে অথচ মেয়ের শ্বশুর-শাশুড়ী ও ননদের স্বামীকে আসামি করে কেন মামলা করছেন জানতে চাইলে ধর্ষিতার পিতা ইউনুস আলী জানান, এর আগে তার মেয়ের ঘরে অন্য পুরুষ ঢুকিয়ে বদনাম দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল এই তিন ব্যক্তি। বিশেষ করে ধর্ষিতার ননদের স্বামী মিরাজুল লোকজন দিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষন করিয়েছে বলে তার ধারণা।
সুত্র-ইত্তেফাক ২৮ মে ২০১৮/বিডিএন